ভারতের একটি আদালত বলেছে, নিজের স্বামীকে অন্যের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া একেবারেই সহ্য করেন না ভারতীয় নারীরা। মঙ্গলবার এলাহাবাদ হাইকোর্ট একটি মামলার শুনানিতে এই মন্তব্য করেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, জনৈক সুশীল কুমারের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে দায়ের করা মামলার শুনানি চলছিল। সুশীল কুমারের তৃতীয় বিয়ের খবর শুনেই আত্মহত্যা করেন তার প্রথম স্ত্রী। এই প্রেক্ষাপটে, আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে কাঠগড়ায় রাখা হয় সুশীলকে। আদালতের কাছে এক পিটিশনে সুশীল কুমার আবেদন করেন যাতে, তাকে ও তার পরিবারের ছয় সদস্যের নাম আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ থেকে খারিজ করা হয়।
সুশীল কুমারের পিটিশন খারিজ করে আদালত জানায়, ভারতীয় মহিলারা নিজের স্বামীর বিষয়ে খুবই ‘পজেসিভ’। তারা নিজের স্বামীকে অন্যের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া একেবারেই সহ্য করেন না। স্বামী গোপনে অন্য মহিলাকে বিয়ে করেছেন, এই কারণটি যথেষ্ট একজন স্ত্রীর আত্নহত্যার পক্ষে।
এলাহাবাদ হাইকোর্টের বেঞ্চ জানায়, যেকোনো বিবাহিত মহিলার জন্য এটি সবচেয়ে বড় ধাক্কা হবে যে তার স্বামীকে অন্য কোনো মহিলার সঙ্গে ভাগ করে নিতে হচ্ছে বা তিনি (স্বামী) অন্য কোনো মহিলাকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন। এমন জঘন্য পরিস্থিতিতে তাদের (স্ত্রী) কাছ থেকে কোনো বিচক্ষণতা আশা করা অসম্ভব। এই ক্ষেত্রেও ঠিক একই ঘটনা ঘটেছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।